কেএম সবুজঃ ঢাকার আশুলিয়ায় ঘোষবাগ এলাকায় কবিতা আক্তার (১৬) নামের এক পোশাক শ্রমিককে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে জানাজানি করলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত ধর্ষকেরা। জানা যায়, সোমবার রাতে কবিতার ফ্যাক্টরিতে নাইট ডিউটি থাকায় সে রাত আনুমানিক আটটার দিকে অফিসের উদ্দেশ্য রওনা হয়। এরপর তার বাসার প্রায় ২০০ গজ দূরের একটা গলির পেছন থেকে মুখ চেপে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায় তিনজন ব্যক্তি।
তারপর শারীরিক নির্যাতন করে সংঘবদ্ধভাবে তিনজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে এবং বাসা থেকে টাকা নিতে তাকে নির্মম নির্যাতন চালায়। বিষয়টি জানাজানি না করতে কঠোর হুমকিও প্রদান করে একটি রিক্সায় তাকে বাসায় পৌছে দেয়। এ বিষয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ধর্ষিতা ও তার বোন।
অপরপ্রান্ত থেকে ধর্ষিতার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে ওই অভিযুক্তরা। ফলে আইনের দারস্থ হতেও ভয় পাচ্ছে ধর্ষিতার পরিবার।
এ বিষয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েই চলছে। এখনই থামানো না গেলে এর ভবিষৎ আরও খারাপ হবে। আমরা খুব শীঘ্রই এলাকার গনমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এ বিষয়ে সুরহার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
কবিতা আক্তার (১৬) আশুলিয়ার ম্যাগপাই সংলগ্ন পাবনা গামেন্টস লিঃ এর সহকারী সুইং অপারেটর হিসাবে ১৫ দিন আগে চাকরি নিয়েছিল। এর আগে সে তার নিজ গ্রামের একটা মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল । কভিড-১৯ অর্থ্যাৎ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে অভারে তারনায় সংসারের সামান্য অর্থের যোগান দিতে আশুলিয়ায় তার বোনের কাছে আসেন চাকরি নিতে।
উল্লেখ্য, কবিতা (১৬) রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার রূপপুর গ্রামের বাবু শেখের মেয়ে। সে আশুলিয়ার ঘোষবাগের সিংঙ্গাপুর প্রবাসী মাহাবুব রহমানের বাসায় বোনের সাথে বাসা ভাড়া থাকতো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ/মামলা দায়ের করা হয়নি।