বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী গ্রামের এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলগত ভাবে ধর্ষণ করেন। গত বৃহস্পতিবার ১২/০২/২১ইং গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের বসুরচর পাঁচগাঁও স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে তার বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের দুই তরুণ এর উপর ১আকাশ ২,সালাউদ্দিন ।
গজারিয়া থানা এলাকার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিতে পাড়া গেছে।
ছাত্রী স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তার বাবা পেশায় একজন রিকশাচালক, মা গৃহিনী।
ভিকটিম জানান, ঘটনার রাতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সে ফোনে কথা বলছিলো।কথা বলার পর সে বাথরুমের উদ্দেশ্যে বাথরুমের দিকে গেলে সে সময় একই গ্রামের দুই যুবক তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি অব্যবহিত বাড়িতে নিয়ে তাড়া ধর্ষণ করেন।সে সময় ঘটনার ভিডিও করে রাখে ধর্ষকরা।
ধর্ষনের শিকাড় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী জানান, আমি বাঁচতে চিৎকার করিলে কেউ শোনিতে পারেনি কারন সেখানে পাশের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলায়, উচ্চ শব্দে গান বাজানো হচ্ছিল সে কারনে শুনতে পাননি।একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারালে তাকে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়।কিছু খন পর তার জ্ঞান ফিরিলে সে অসুস্থ শরীরে বাড়িতে প্রচ্ছায়।
ভিকটিম ছাত্রীর পরিবার জানায়, আহত অবস্থায় মেয়েকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা আমাদের বাঁধা দেয়। এই পরিস্থিতিতে তাদের বড় মেয়ে এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা হতে-পুলিশের একটি দল গিয়ে সেখানে উপস্থিত হন।
গজারিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. মাঈন উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক জান তারা। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান।
ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর মা গত কাল শুক্রবার দুই জন ধর্ষকের নাম উল্লেখ্য করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রইছ উদ্দিন (ওসি) জানান, দলবদ্ধ ধর্ষণের একটি মামলা হয়েছে থানায়। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে। সে শুভাদে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের তিন স্বজনকে থানায় আনা হয়েছে এবং আসামিদের ধরিতে অভিযান অব্যাহত আছে।