গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় স্বজনদের মারধর করার ঘটনা ঘটে। নিহত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, বিকালে খেলাধুলা শেষে ওই ছাত্র হাসিবুর শারীরিক অসুস্থাবোধ করলে তাকে চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুজন পাল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসিবুরকে সাধারণ বেডে ভর্তি করান। এরপর হাসিবুরের অবস্থার উন্নতি না হলে রাত ৯টার দিকে হাসিবুরের শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করেন ডাক্তার। ইনজেকশন পুশ করার পরপরই হাসিবের নাক-মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায়। এতে প্রতিবাদ জানালে রোগীর স্বজনের মারধর করেন দায়িক্তরত চিকিৎসক, নার্স ও তাদের সঙ্গে থাকা বহিরগতরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ।
নিহত হাসিবুর গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের বেপারী পাড়ার বকুল মিয়ার ছেলে ও স্থানীয় আমানউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্র।
এদিকে এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় ইউডি মামলা হলে এসআই জহুরুল ইসলাম আজ বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা হাসপাতালে যান এবং মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হারুন অর রশিদ হামলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, শিশুর মৃত্যুর পর যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে সে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় রাতেই। তবে গাইবান্ধা সদর থানায় ইউডি মামলা হওয়ায় নিহতের সুরতহাল রিপোর্টের পর ময়না তদন্ত করা হবে প্রকৃত ঘটনা উদঘটনের জন্য ।