মোঃ সাফিউল আজীম খানঃ
বইয়ের প্রতি মানুষের এক দুর্নিবার টান। সেল ফোন, ইউটিউব, নেটফ্লিক্সের যুগে এখনো মানুষ বই পড়ে। অনেকে বইয়ের বদলে ই-বুক পড়ে, কিন্তু বই তো। তারপরেও আধুনিককালে একটা বিতর্ক লেগেই থাকে বইয়ের পাঠক কি কমে যাচ্ছে? যদিও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট জরিপ নেই।
এমনও হতে পারে প্রযুক্তির চাপে; টিভি, মোবাইল, ইন্টারনেট প্রভৃতির ব্যবহারের কারণে মানুষের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ কমছে। তবে প্রতিবছর বইমেলায় আবার বই বিক্রি বাড়ছে। ফলে সুনির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
অবশ্য বেশ কয়েকটি জরিপের ফল জানাচ্ছে, বিশ্ব জুড়েই তরুণদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা কমছে। তারপরেও এখনো প্রায় সব দেশেই মেয়েরা বই পড়ায় এগিয়ে। বাংলাদেশেও। তারপর ছেলেদের স্থান। আর সবচেয়ে বই কম পড়ে কারা জানেন, তরুণরা। সোশ্যাল মিডিয়া, গেম আর সেলিব্রেটি পেজে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য কিডস অ্যান্ড ফ্যামিলি রিডিং রিপোর্ট’ বলছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি ২৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরীরা সপ্তাহে পাঁচ থেকে সাত দিন বই পড়ে। এই শতকরা হার আরো নিচে নেমে ১৭ শতাংশে এসে থেমেছে যখন টিনএজারদের মধ্যে জরিপ চালানো হয়েছে। ১৫ থেকে ১৭ বছরের কিশোরদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে। আর এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যখন দেখা গেছে, এরা দিনের ৭৬ শতাংশ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায়। এবার দেখা যাক এখনো যারা শিশু এবং যারা কয়েক বছরের মধ্যেই টিনএজার হবে—তাদের কী অবস্থা। ৬ থেকে ৮ বছরের শিশুদের মধ্যে ৪৮ শতাংশই সেল ফোনে অ্যাপসের মাধ্যমে গেম খেলে। আর ৩৪ শতাংশ ইউটিউব এ ভিডিও দেখে কাটায়।