ইমদাদুল হকঃ নতুন পৃথিবীতে পার্থিব সম্পদ থেকেও বড় সম্পদ জ্ঞান।আজকের প্রজন্মকে এই জ্ঞান চর্চার সুযোগ করে দিলে অতি অল্প সময়ে ম্যাজিকের মত অচিন্তনীয় সম্পদশালী একটা দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।রাষ্ট্রনায়ক,রাজনীতিবিদ,শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক,অর্থনীতিবিদ সহ সকলস্তরের নতুন প্রজন্মের মনন,মেধা সাধনে,দেশের শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নয়নে,বিশ্ব দরবারে নিজ দেশের গৌরবময় অবস্হান গড়ে তুলতে রাষ্ট্রনায়ক,রাজনীতিবিদের চেয়ে শিক্ষকের অবদান কম নয়। আজও দেখতে পাই বৃটিশ শাসন আমলের ঐপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্হার ন্যায় বৈষম্যমূলক শিক্ষা ব্যবস্হা বিরাজমান।দেশ এক,শিক্ষা এক,সিলেবাস এক কিন্তু বেতনের ব্যবধান লজ্জাজনক।এই পৃথিবীর উন্নয়নশীল কোনো দেশে শিক্ষার এ রকম বৈষম্য আছে কি-না জানা নাই। বিচ্ছিন্নভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ শিক্ষক সমাজকে হতাশার ঘোর অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।যুদ্ধ বিদ্ধস্ত সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধানের দ্বায়িত্ব নিয়ে বাঙালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হাকে জাতীয়করণ করে এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছিলেন,যার সুফল প্রতিটি স্হানীয়,জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান সরকার পেয়ে থাকেন এবং পরবর্তীতে মাধ্যমিক সহ সকল শিক্ষা ব্যবস্হা জাতীয়করণ করতে চেয়েছিলেন।ইতিহাসের পরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মধ্যমনি হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজটি করলে একদিকে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন পূরণ হবে অন্য দিকে বর্তমান সরকারের প্রধান হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ভীত আরও সুদৃঢ় হবে। বাঙালী জাতির দৃঢ় বিশ্বাসের জায়গা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি পদ্মা সেতু কিংবা পারমানবিক শক্তিকেন্দ্র থেকেও অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান সম্পদের কারখানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে বিচ্ছিন্নভাবে জাতীয়করণ করে বাঙালী জাতির অকৃত্তিম বন্ধু বিশ্বনন্দিত অবিসাংবাদিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ করে ইতিহাসের অনন্য উচ্চ আসনে জায়গা করে নিন। মোঃনজরুল ইসলাম গণসংযোগ সম্পাদক,কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(বাশিস) ও শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য।