বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শহরের চারমাথার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ ও দু’জন সাংবাদিকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এই সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া, ৬টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর এর অফিস ঘরে। বেলা ১২ টায় শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। এসময় বগুড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরের আটটি জেলায় যাতায়াতকারী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর একটার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌছে আগুনে নিভিয়েছে। আহতরা বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, একটি গ্রুপ জেলা মোটর মালিক শ্রমিক গ্রুপের অফিস দখল করতে আসছে এমন খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়। এ সময় হামলায় ডিএসবির এক সদস্য ছুরিকাহাত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৬/৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উল্লেখ্য , এর আগে গত ৭ই জানুয়ারি দুপুরে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে অবরোধের মুখে ফিরে আসেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) নেতৃত্বে একটি টিম। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে দিতে বলা হয়। কিন্তু মালিকদের পক্ষ থেকে এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলমান রয়েছে। এক পর্যায়ে হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৬ ডিসেম্বর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে এডিএম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ নিয়ে চারমাথা এলাকায় মোটর মালিক গ্রুপের অফিসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে মোটর মালিক গ্রুপের সাবেক নেতৃবৃন্দ অফিসের চাবি না দিয়ে বগুড়া-ঢাকা, বগুড়া-রংপুর ও বগুড়া-নওগাঁ সড়কে বাস আড়াআড়ি করে দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন। ফলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন পরিবহন নেতারা।