যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে শেতাঙ্গ চরমপন্থীদের নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন আইনপ্রণেতারা।
গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন আইনসভা ক্যাপিটল হিল হামলায় প্রাক্তন ও বর্তমান কিছু সেনা সদস্য জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে।সেনাবাহিনীসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীতে কীভাবে শেতাঙ্গবাদী চরমপন্থীদের অনুপ্রবেশ রোধ করা যায় এনিয়ে চিন্তিত আইন প্রণয়নকারীরা।
দ্য হিল এসংক্রান্ত তাদের রিপোর্টে ডেমোক্রাট কংগ্রেসম্যান এ্যন্হনি ব্রাউনের বক্তব্য তুলে ধরেছে। নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ব্রাউন হিলকে বলেছেন, আইনসভা ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায সকলের চোখ খুলে দিয়েছে। এ হামলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিভিন্ন বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক সদস্য বলে পরিচয় পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আমেরিকাকে অধিক নিরাপদ করতে এই ঘটনার গভীরে প্রবেশ করতে হবে।এইসব চরমপন্থীরা দল ভারী করতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করছে।তারা নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজনকে নানা ভাবে দলে টানছে। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই সেনাবাহিনীকে চরমপন্থার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন আ্যক্ট (এনডিএ) নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কংগ্রেসে।
ক্যাপিটল হিলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ আনা ১ শ ৪০ জনের মধ্যে ২৭ জনই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট। এরা হয় বর্তমান বা সাবেক বিভিন্ন বাহিনীর লোক। এনিয়ে এফবিআই ও ফেডারেল বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
সেনাবাহিনীর বর্তমান বা সাবেক সদস্যের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা পাশ রয়েছে।এই সুযোগে অনেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে থাকে।
পেন্টাগনের একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন,এইসব চরমপন্থীরা নিজেদের লোকদের প্রতিরক্ষামূলক বিভিন্ন বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহ যোগাচ্ছে এমন তথ্য প্রমাণ রয়ছে তাদের কাছে। এনিয়ে এই কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
২০১৯ সালে সারাকিউস ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট অব ভেটার্রানস পরিচালিত এক জরিপে এক তৃতীয়াংশ সেনা সদস্য জানিয়েছে তাঁরা সম্প্রতি সময়ে কোন না কোন ভাবে চরমপন্থী রক্ষনশীলতার উপস্হিতি টের পেয়েছেন নিজেদের কর্মক্ষেত্রে।