কেএম সবুজ (বিশেষ) প্রতিনিধিঃ ২০১১ ইং সালের ২১ ডিসেম্বর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দ্বারা হত্যা হয় বাংলাদেশী বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে ফেলানী। এরপর সচেতন জনগণের মাঝে একটি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই পালিত হয় ২১ ডিসেম্বর সীমান্ত হত্যা দিবস। যাতে করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাড়া ও সচেতন নাগরিকদের মাঝে দেখা যায় বুকে বা চোখে কালো ব্যাজ পড়ে দিবসটি পালন করতে। তেমনি আজ ২১ শে ডিসেম্বর ২০২০ইং রোজ সোমবার সীমান্ত হত্যা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক দল বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যে কালো ব্যাজ ধারণ করে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির অঙ্গসংগঠন গুলোও।
যার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ” জিয়া সাইবার ফোর্স” এর কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর মধ্যে কালো ব্যাজ ধারণ ও চোখে কালো কাপড় বেধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জিয়া সাইবার ফোর্সের মহাসচিব কেএম হারুন অর রশীদ, সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদ মজনু,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইমদাদুল হক, বিএনপি নেতা আব্দুল লফিফ মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাসুদুর রহমান,যুবদলের নেতা আলম মোল্লা,যুবদলের নেতা ইউনুস সরদার,আলতাফ মোল্লা,খন্দকার মাহাবুব সহ আরও অনেকই।
এ সময় জিসাফো মহাসচিব কেএম হারুন বলেন, আমাদের দেশে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার খুবই প্রয়োজন যার মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ভারতের বিএসএফ দ্বারা বাংলাদেশী সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা সম্ভব হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারতীয় সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার প্রশ্নে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সীমান্ত হত্যা তেমন পরিলক্ষিত করা যায়নি। সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ভারতীয় বাহিদের দ্বারা সীমান্ত হত্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ভারতীয় বিএসএফ দ্বারা সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে জিসাফো সহ-সভাপতি ও করমজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ মজনু বলেন, ১৯৭১ এর পরবর্তীতে যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসে তখন কিন্তু এই সীমান্ত হত্যা কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী সরকারের অধিক নীরব ভুমিকায় ক্রমেই বেড়েই চলছে এই হত্যাকাণ্ড। আমাদেরকে ভারত নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনলেই ভারতীয় বাহিনী দ্বারা সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে বলে আমি মনে করি।
এ প্রসঙ্গে জিসাফো শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, ফেলানী হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বরাবরই জন সমর্থিত সরকারের মাধ্যমে এই আগ্রাসন রুঁখে দিতে চাই।
উল্লেখ্য, সীমান্ত হত্যা দিবস উপলক্ষে সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছেন।।