ঢাকাসোমবার , ১৬ নভেম্বর ২০২০
আজকের সর্বশেষ খবর

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই


নভেম্বর ১৬, ২০২০ ২:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই গণপরিবহনে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার তোয়াক্কা না করেই সড়কে চলছে গণপরিবহন। রাজধানীর বেশির ভাগ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অধিকাংশ যাত্রীর মুখেই মাস্ক নেই। প্রথমদিকে যানবাহনে বাসের হেলপারদের হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে থাকলেও এখন সেটা একদমই দেখা যায় না। সম্প্রতি দেশের সব গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতি। কিন্তু বাস্তবে কাগজে-কলমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়কে গণপরিবহন চলছে না। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলার যে অনুমতি দিয়েছিল সেখানে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।

সব গণপরিবহনের একই চিত্র। ফলে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ প্রাণঘাতী আকারে রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর ফার্মগেট, শাহ্‌বাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান, মিরপুর, মহাখালী, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বেশির ভাগ বাসে যাত্রী, বাসচালক, হেল্পারের মুখে মাস্ক নেই। গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা স্পষ্ট চালক-হেলপার এবং যাত্রীদের মুখে।
গত শনিবার সমিতির আওতাধীন সব মালিক সংগঠনের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তবে গণপরিবহনের চালক-সহকারী ও যাত্রীদের উদাসীনতার বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে সচেতন যাত্রীদের। বিআরটিসি বাসের যাত্রী সুমন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সব জেলা, শাখা ও ইউনিটে চলাচলকারী সব গাড়ির মালিক এবং কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরের একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন শাহিন আকবর। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে এককথায় বলেন, মাস্ক পরে কী হবে। করোনা যার হওয়ার তার এমনিতেই হবে। বিআরটিসি বাসের চালকের সহকারী সোলায়মান বলেন, যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে হয় তাই মাস্ক পরিনি। মাস্ক পরে কথা বললে অনেকেই বুঝতে পারে না। অসুবিধা হয়। তাছাড়া সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে অস্বস্তি লাগে। দম বন্ধ লাগে। মাঝে-মধ্যে খুলে রাখি।
বাসের আরেক যাত্রী অনেকটা তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, শুরু থেকেই আমি মাস্ক পরি না। এখন পর্যন্ত সুস্থ আছিতো। তার পাশের আসনের যাত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, অবশ্যই প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। ইতিমধ্যে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গেছে। সচেতন না হলে করোনার প্রকোপ বাড়বে। তাই বাসচালক-যাত্রী, হেল্পার সবাইকে সচেতন হয়ে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। কাজেই এখনই যদি আমরা সচেতন না হই তাহলে সামনে ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে।
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, এর আগেও সরকারি নির্দেশনায় যাত্রীদের গণপরিবহনে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে বলা হয়েছিল। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে একই কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এভাবে চিঠি বা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তো যাত্রী, চালক-হেল্পারকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাবে না। এটা তাদের দায় এড়ানোর কৌশল। তাদের দায়িত্ব হলো সরজমিন স্ব স্ব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি না সেটা নিশ্চিত করা। দায়সারা নয়, নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব নিতে হবে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার অভিযোগ  বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।