ঢাকাশুক্রবার , ১৩ নভেম্বর ২০২০
আজকের সর্বশেষ খবর

লালমনিরহাটে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ


নভেম্বর ১৩, ২০২০ ৭:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে আদিতমারী উপজেলা প্রশাসনের সতেরো জন কর্মকর্তা নানা অভিযোগ এনে অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা চলাকালীন সময়ে ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে ইউএনও ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিতণ্ডা শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা চলাকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ডের অংশ দাবি করেন। চেয়ারম্যানের এই কথার প্রেক্ষিতে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বিধি মোতাবেক তালিকা প্রনয়নের কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এর কিছুক্ষণ পরে ইউএনও অফিস সংলগ্ন করিডোরে লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরাটি উপজেলা চেয়ারম্যান তার একজন ব্যক্তিগত লোক দিয়ে খুলে ফেলতে থাকেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টিতে এলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে সিসি টিভি ক্যামেরা খোলার দৃশ্যটি মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে গেলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তেজিত অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। এ অবস্থায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চেয়ারম্যানকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে উত্তেজিত হয়ে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে ‘ঘার ধরে উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দিব’ বলে হুমকি দেন। এসময় অন্যান্য অফিসাররা এর প্রতিবাদ জানালে তাদেরকেও গালিগালাজ করেন চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে আদিতমারীর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস এর সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, একটি পরিবারে চলতে গেলে সামান্য কিছু ভুলত্রুটি থাকবে। এগুলো আমরা নিজেরাই বসে ঠিক করতে পারতাম। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেটি না করে আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন লোকজন মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ভিজিডির কার্ডের জন্য এসে থাকেন। এজন্য আমি কিছু বরাদ্দ দাবি করেছিলাম কিন্তু তারা আমাকে বিধির কথা বলেছেন। এ কারণে আমি সভাস্থল ত্যাগ করেছি। সিসি টিভির লাইন খোলা ছিল আমি সেটি লাগানোর জন্য লোক তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু ইউএনও আমার সামনেই আমার লোককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেছেন। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সবই মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে ঘটনা সুষ্ঠ তদন্তের তাবি জানান।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, এমন পরিবেশে সরকারী কর্মকর্তাদের চাকরি করা দুরহ হয়ে পড়েছে। আমরা সকল অফিসার এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। এছাড়াও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অনুলিপি দিয়েছি। এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে আমরা সবাই তাকিয়ে রয়েছি।

লামনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্ত করার জন্য লালমনিরহাট স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালককে (ডিডিএলজি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

✅ আমাদের প্রকাশিত কোন সংবাদের বিরুদ্ধে আপনার মতামত বা পরামর্শ থাকলে ই-মেইল করুনঃ dailyvorerkhabor@gmail.com ❌ বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।