কেএম সবুজ (বিশেষ)প্রতিনিধিঃ সারা দেশে এবারে দূর্গাপূজায় করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যতিক্রমি ভাবে হিন্দু সনাতন ধর্মের বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আশুলিয়ার বিভিন্ন মন্ডবে চলছে এর ব্যতিক্রম। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবারের শারদীয় এই উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকছে সরকারের স্বাস্থ্যবিধির কড়া নির্দেশ। মহালয়া থেকে শুরু করে পুরো দুর্গো উৎসবে চির পরিচিত আমেজ না থাকার কথা।
কিন্তু আশুলিয়ার জামগড়া,নরসিংহপুর,জিরাবো,তৈয়বপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মন্ডবে মন্ডবে দূর্গাপূজার উৎসব। কোন করোনা সচেতনতামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে নাচ,গান আর মেলা। সেখানেও মানুষের অস্বাভাবিক উপস্থতিতে মুখে মাস্ক ও নেই অনেকেরই। অস্বাস্থ্যকর ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন মুখোরোচক খাবার।
প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের অভাবে কভিড-১৯ অর্থ্যাৎ করোনা ভাইরাসে সংক্রমন দিন দিন বাড়তে থাকলেও কেন অবহেরায় আমাদের দেশের মানুষ?
করানো প্রতিরোধক কোন ব্যবস্থা নেই কেন?এমন প্রশ্নে লিটন চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের দায়িত্ব আছে করোনা প্রতিরোধে সচেতন হওয়া কিন্তু আমি একা মেনে লাভ আছে? কেউ্ই মানছে না। এখানে নিয়ম করে কোন লাভ নেই?
করোনা প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া বিধি নিষেধ কে অমান্য করা হচ্ছে ? এমন প্রশ্নে সুকুমার শীল বলেন, করোনা ভাইরাসের যে একটা বিধি নিষেধ আছে সেটা কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ ভুলেই গেছি।অমান্য প্রসঙ্গে বলবো প্রশাসনের ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই না। তারা কঠোর অবস্থানে থাকলে আজ আমরা কেন সবাই মানতে বাধ্য থাকতাম।একটা ধর্মীয় বড় উৎসবে আমরা আনন্দ পরিপূর্ণ করতে চাইবো এটাই আশা।
হিন্দু রীতি অনুযায়ী, মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা- এই তিন পর্ব মিলে অনুষ্ঠিত হয় দুর্গোৎসব। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আশ্বিন মাসের এই শুক্ল পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের শুরু হয় যে অমাবস্যায়, সেদিন বলা হয় মহালয়া। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সেদিন 'কন্যারূপে' বাপের বাড়ি অর্থাৎ মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭