কেএম সবুজঃ পাবনা-৪ ঈশ্বরদীর উপ নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীকে নিয়ে মনোনীত হয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব। কিন্তু দলীয় কোন্দলের কারণে কোনভাবেই প্রচার প্রচারণা সহ কোন কর্মসূচী পালন করতে হিমহিম পড়েছেন তিনি । অভিযোগ আছে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হওয়ার পড়ে হাবিবুর রহমান হাবিব কয়েকটি উপজেলায় কমিটি দিতে ব্যর্থও হয়েছেন। তাতেই বেড়েছে দলীয় কোন্দল। ত্যাগী ও একনিষ্ঠ বিএনপি সহ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় কোন্দলের কারণে কোনভাবেই প্রচার প্রচারণায় আসতে চান না কেউ। তবে দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মানতে দলীয় কোন্দল ভুলে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামে পাবনা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা সহ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন সহ অনেকেই। এতেই চড়াও হয়ে গতকাল হাবিবুর রহমানের নিজ বাড়ীতে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানার উপর হামলা করে সাবেক জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুইট খানের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা।
এতে গুরুত্ব আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা সহ জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সসম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভোরের খবরকে জানান, দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা সন্ত্রাসী কায়দায় কোন্দল করে আসছিল। ইতিমধ্যে হাবিবুর রহমানের বাসায় নির্বাচনের প্রচারণার কাজে গেলে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এতে সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও সহঃসাধারণ সম্পাদক সাব্বির গুরুতর আহত হয়।
ছাত্রদলের সহঃ দপ্তর সম্পাদক রুবেল শেখ জানান, যারা হামলা করেছে তারা মূলত বহিরাগত। তবে সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুইট খানের নের্তৃত্বে এই হামলাটি পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, দল বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এই সাবেক ছাত্রদল নেতা সুইট খান পদ থেকে বাদ পড়ে আছেন।