চীফ রিপোর্টারঃ ঢাকার আশুলিয়ার বিভিন্ন হাট-বাজার, মার্কেটের দোকানে ও রাস্তার পাশে বসে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবাধে বিক্রি করছে নোংড়া, পচা পোকাযুক্ত মাংস। এই পচা মাংশ কিসের? গরুর না নিষিদ্ধ কোনো মরা পশুর মাংস তা কেউ
জানেন না। এসব মাংস আশপাশের কিছু হোটেলে রান্না করে বিক্রি করা হয় বলে অনেকেই জানান। এসব মাংস
খাওয়ার পর মানুষের শরীরে কেমন কঠিন রোগ হতে পারে এর ধারণা নেই কারো। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
কামনা করছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, আশুলিয়া বাজার, কাঠগড়া, ঘোষবাগ, জিরাবো, নিশ্চিন্তাপুর, নরসিংহপুর জামগড়া, ইউনিক,
জিরানী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় হাট-বাজারে ও রাস্তার পাশে এসব নুংড়া, পচা পোকাযুক্ত মাংস বিক্রি করছে
এক শ্রেণির অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা। এসব বিক্রির কারণে যারা তাজা গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছে তাদের
প্রতি ক্রেতা সাধারণ মানুষ আস্থা ও বিশ্বাস হারাচ্ছেন কারণ, চুন খেয়ে গাল পুড়ছে দই দেখে ভয় লাগে। অনেকেই
বলেন, এসব পোকাযুক্ত মাংস দেখিনিতো আগে, এখন হোটেলে গরুর মাংস খাওয়া যাবে না বলে অনেকেই জানান।
উক্ত ব্যাপারে ঢাকা জজ কোর্টের এ্যাডঃ আরাফ বলেন, খাদ্যে ভেজাল করা হলে সেটা বড় ধরণের অপরাধ, যারা খাদ্যে ভেজাল
করে এবং নুংড়া পচা পোকাযুক্ত মাংস বিক্রি করছে এদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা দরকার। তিনি আরও বলেন,
উক্ত বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এই চক্রের সাথে যারা জড়িত
তাদেরকে আটক করে কঠিনতম সাজা দেয়া হোক এই দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ঢাকাসহ
সারাদেশে বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, নুংড়া পচা পোকাযুক্ত মাংস বিক্রি
করা বড় ধরণের অপরাধ, যেসকল এলাকায় এসব বিক্রি করছে, যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭