আপন সরদার (মুন্সিগঞ্জ) থেকেঃ ১২ ঘন্টা পর উদ্ধার হওয়া সুমন ভালো নেই আগামীকাল নেওয়া হতে পারে আবারো হাসপাতালে মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি- ঢাকার সদরঘাট এলাকায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ১২ ঘন্টা পর উদ্ধার হওয়া সুমন বেপারী ভালো নেই।আগামীকাল আবারো তাকে নেওয়া হতে পারে হাসপাতালে। গতকাল ৩০ শে জুন মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে নিজ বাড়িতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামে নিয়ে আসা হলে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। তারপর হতেই হাজারো প্রশ্নে জর্জরিত করে তারা সুমন বেপারীকে। এতে তখন থেকেই অস্বস্তিতে পড়েন তিনি। পরে ১লা জুলাই বুধবার ভোড় হতে উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে। এতে চরম অস্বস্তিতে পরেছে তার পরিবার। উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। হাজারো প্রশ্নে জর্জরিত সুমন বেপারীও অাছেন অস্বস্তিতে। বিকেল হতে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সরেজমিনে বুধবার সন্ধায় গিয়ে দেখা যায়, নিজ গৃহে খাটের উপরে শুয়ে আছেন সুমন বেপারী। একটু পর পরই জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে সে। মাথার মধ্যে নিজের হাত দিয়ে আঘাত করছেন মাঝে মাঝে। এ সময় তিনি জানান, তার শরীর ভালে লাগছেনা। সুমন বেপারীর এক নিকট আত্মীয় জানান, সকালে রুটি ভাজি দিয়ে নাস্তা করলেও দুপুরে ভাত খায়নি সুমন। এখনো তেমন কিছু খাচ্ছেন না। এদিকে আহত সুমন বেপারীর মা বৃদ্ধা আমেনা বেগম (৭৫) বার বার ছেলের কাছে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পরছে। তাই পরিবারের লোকজন তাকে সুমনের কাছে হতে দূরে রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুমন বেপারীর বড় ভাইয়ের ছেলে আরাফাত রায়হান সাকিব জানান, চাচ্চুকে গত রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়িতে আনার পর হতেই মানুষের ভিড় লেগে আছে। মানুষের ভিড় সামলাতে আমার পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। মানুষের হাজারো প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে আমার চাচ্চু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিকাল হতে সে তেমন কোন কথা বলছে না তাই আগামীকাল আবারো তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবো। সে আরো জানায়, লঞ্চ ডুবির পর আমার চাচ্চুকে খুঁজে না পেয়ে আমরা সবাই সে মারা গেছে শতভাগ নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলাম। এমনকি আমার দাদার কবরের পাশে চাচ্চুর জন্য কবর খোঁড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কেউ কেউ। পরে একটি টিভি লাইভে দেখতে পারি আমার চাচ্চু বেঁচে আছে। পরে আমরা ওই টিভি অফিসের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করি আমার চাচ্চুর পরিচয় জানাই। আমার চাচ্চুকে মিডফোর্ড হাসপাতালে একদিন ভর্তি রাখার পর মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে নিয়ে আসি। সুমন বেপারী মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত-ফজল বেপারী ছেলে। ঢাকার সদরঘাট বাদামতলী এলাকায় ফলের ব্যবসা করতো সে। ২৯ জুন সোমবার মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম কাঠপট্টি ঘাট হতে ছেড়ে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চটির যাত্রী ছিলো সে। পরে ওই লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট শ্যামপুর এলাকায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।
ভিডিও লিংক নিচে,
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭