জেলা প্রতিনিধিঃ করোনাকে ভয় করছে না রংপুরের মানুষ। ফ্রি স্টাইলে চলছে চলাফেরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও কেউই সামাজিক দূরত্ব মানছে না। প্রায় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার সচেতনার তোয়াক্কা না করে ফ্রি স্টাইলে চলছে কেনাবেচা।
অসচেতন নারী-পুরুষ মহাবিক্রমে বাজার সদাই করছেন। অনেকে আবার শিশু সন্তানকে নিয়ে এসেছেন মার্কেটিং করতে। সেই সাথে অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনে চলাচল বৃদ্ধিতে রংপুর নগরী আবারও যানজটের নগরীতে পরিণত হয়েছে। অথচ রংপুর নগরী রয়েছে মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে।
রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের ৮ জেলায় মোট মৃত্যু দাঁড়ালো ৭৬ জনে। ডাক্তার, রেঞ্জ রির্জাভ পুলিশ, ব্যাংকার, নার্স, আনসারসহ বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের ১৪৭ জন নিয়ে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার ৪’শ ৪৫ জন। রংপুর জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩’শ ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু বরণ করেছে ২৩ জন। যা এই বিভাগে এখন পর্যন্ত সব চেয়ে বেশী। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে দিনাজপুুর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৩ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, নগরীর প্রায় মহল্লায় করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলেও অধিকাংশ নগরবাসীর মধ্যে করোনার ভয় নেই। তাই নগরীবাসীর মধ্যে সামাজিক দূরুত্বের বালাইও নেই। এমনিতেই করোনা আক্রান্তের দিক থেকে বিভাগীয় শহর ভিক্তিক পরিসংখ্যানে রংপুর শহর ওপরের সারিতে রয়েছে। এর পর সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের দোকান পাট ৭টা পর্যন্ত খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু দোকানপাট খোলা থাকছে রাত ১০ টা পর্যন্ত। সচেতন মহল মনে করছেন আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কেনাকাটা করতে মানুষ যে হারে বাজারে আসছে। তা সত্যিই বিপদজ্জনক। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। অটোরিক্সার কারণে নগরীর জাহাজ কোম্পানির মোড় থেকে সিটি করপোরেশনের সামনে পর্যন্ত অস্বাভাবিক যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
জেলা সিভিলি সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় বলেন, রংপুর শহর মারাত্বক করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে। সামাজিক দূরুত্বসহ অন্যান্য নিয়ম কানুন মেনে না চললে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।