মোঃ শাহাদত হোসেন (আশুলিয়া )থেকেঃ “বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখাসহ নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকাসহ সারাদেশে বাজার তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী, এমপি নিয়মিতভাবে অধিদপ্তরের ঢাকাসহ সারাদেশের বাজার তদারকি কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে মনিটরিং করছেন এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন ।
বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর পরামর্শে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার নির্দেশনায় ও পরিচালক (প্রশাসন) শামীম আল মামুনের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে আজ ৭ জুলাই ১০১ টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেন।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুম আরেফিন, সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও মাগফুর রহমান ।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ৫১ জন কর্মকর্তা বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে বাজার অভিযান পরিচালিত হয়।
তদারকিকালে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিকমূল্যে পণ্য ও ঔষধ বিক্রয় করা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ও ঔষধ বিক্রি করাসহ ভোক্তা আইন বিরোধী বিভিন্ন অপরাধের জন্য সারা দেশের ১৫৮ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫ লক্ষ ৬ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ সারাদেশে অধিদপ্তরের নিয়মিত ও বিশেষ বাজার তদারকি কার্যক্রম চলছে।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করার জন্য ব্যবসায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান তিনি ।
এছাড়াও নিত্যপণ্যের উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের ক্রয় মূল্যের ভাউচার এবং মূল্য তালিকা সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে ও নকল-ভেজাল পন্য উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রয় করা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল ভোক্তা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের অনুরোধও জানান তিনি।