নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে। এ পর্যন্ত ১৫৩টি কারখানার ৩১৩ জন শ্রমিক প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্প পুলিশ) ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পোশাক কারখানা মালিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগে পোশাক কারখানাগুলোতে করোনা আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ ও শ্রমিকদের চিকিৎসা দিতে কাজ করছে কয়েকটি টিম। তাদের সংগ্রহ করা তথ্যের মাধ্যমে গত ২৮শে এপ্রিল দেশের পোশাক কারখানায় প্রথম একজনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়। এছাড়া শিল্প পুলিশের পক্ষ থেকে কারখানায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সবশেষ শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিজিএমইএ’র ৫৯টি কারখানায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬২ জন। বিকেএমইএ’র ২৬টি কারখানায় ৬৫ জন। বিটিএমএ’র ৩টি কারখানায় ৪ জন। বেপজার ৪৬টি কারখানায় ৫৫ জন ও অন্যান্য একটি কারখানায় ২৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
অঞ্চলভিত্তিক তথ্যে দেখা গেছে, আশুলিয়ার ২৭টি কারখানায় ৬২ জন, গাজীপুরের ৩৫টি কারখানায় ৮৩ জন, চট্টগ্রামের ৪৮টি কারখানায় ৫৬ জন, নারায়ণগঞ্জের ৩৪টি কারখানায় ৭৪ জন, ময়মনসিংহের ৭টি কারখানায় ৩১ জন ও খুলনার ২টি কারখানায় ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে কোনো পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আক্রান্ত শ্রমিকের তথ্য দেয়ার জন্য চালু করা হয়েছে হটলাইন। পাশাপাশি চারটি জোনে ভাগ করে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া যে শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাকে এবং ওই শ্রমিকদের সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও ছুটিতে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। যারা বেশি অসুস্থ তাদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। যার খরচ বহন করছেন কারখানার মালিকরা।
এদিকে সম্প্রতি পোশাক শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস শনাক্তে গাজীপুরের চন্দ্রায় ডা. ফরিদা হক মেমোরিয়াল ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতালে আধুনিক পিসিআর ল্যাব স্থাপন করেছে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ জানায়, গাজীপুরের চন্দ্রায় স্থাপিত ল্যাবে প্রতিদিন ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে।