ডেস্ক রিপোর্টঃ তথ্যপ্রযুক্তির সাথে এখন বদলে যাচ্ছে দেশের সকল স্তরের কার্যক্রম। ভার্চুয়াল জগতের বাসিন্দাতে মানুষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশের হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ বাদে প্রায় অধিকাংশ মানুষই এখন অনলাইন নির্ভর। দৈনন্দিন কেনাকাটা থেকে শুরু করে পড়াশোনার কাজটিও দেশের চলমান মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে অনলাইনেই শুরু হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের কার্যক্রম সহ দেশের মূল কাজগুলোই এখন অনলাইন ভিত্তিক। একদিকে অনলাইনের সুফল আমাদের জীবনযাত্রার মান পরির্বতন করলেও অপরদিকে অনলাইন ভিত্তিক গেমস গুলো খুবই ক্ষতিকর প্রভাবের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে অনলাইন ভিত্তিক আলোচিত গেমস্,ফ্রি ফায়ার, পাবজি সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন গেমসের কারণে শিশু-কিশোরদের একটা নেশায় পরিণত হয়েছে।
একদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই ঘরে অবস্থান করার ফলে এই খেলায় আসক্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিক্ষার্থীরা, অনলাইনে ক্লাসের কারণে নিয়মিত ফোনে ইন্টারনেট কিনতে হয়। আর এই সুযোগে ক্লাসের আগে ও পরেই শুরু হয় অনলাইন ভিত্তিক এসব গেমস খেলা।
এ বিষয়ে অভিভাবক শফিকুল ইসলাম বলেন, তার ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে শিব্বির লকডাউনের পর থেকেই পাবজি গেমস খেলায় আসক্ত। গেমস খেলার পর থেকে তার বিভিন্ন সমস্যা লক্ষ করা যাচ্ছে।

অনলাইনে পাবজি গেমস খেলায় আসক্ত এক কিশোর
৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া আবিদের বাবার ও একই অভিযোগ করে বলেন, অনলাইনে গেমসে আসক্ত হওয়ার পর থেকেই চোখ লাল,মাথাব্যাথা ,খিটখিটে মেজাজ সহ নানা সমস্যা লক্ষ করা যাচ্ছে।
তবে,গেমসে আসক্ত এসব শিশু-কিশোরদের কোনভাবেই এই অভ্যাস থেকে ত্যাগ করানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অনলাইনে গেমসের বিষয়ে আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট মহলের অবহেলা আছে। তারা একটু ভালভাবে মনিটরিং করলেই এই কুফল থেকে বেড়িয়ে আসা সম্ভব।

ফ্রি ফায়ার ও পাবজি নামক অনলাইন গেমস দ্রুত আমাদের দেশে বন্ধ ঘোষণা করতে সংশ্লিষ্ট মহলের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।

 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    
 
                                    
 
                                 
                                 
                                 
                                