মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় ২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা। এ ঘটনায় নিহতদের বাড়ী মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় শোকের মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে মুন্সীগঞ্জের আকাশ ভাড়ি হয়ে উঠেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরাশগঞ্জ-শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি চালিয়ে মরদেহ গুলো উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া ২৭ লাশের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ৭ জন নারী এবং ৪ টি শিশু। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বলেন, এখন পর্যন্ত ১৬ জন পুরুষ, ৭ নারী এবং ৪ টি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহ গুলোর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে দূর্ঘটনায়র কবে পড়া লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে এসেছে তাই ধারণা করা হচ্ছে নিহত সকলের বাড়ী মুন্সীগঞ্জে। লঞ্জডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য সোমবার সকাল পৌনে ৮ টার দিকে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে ফরাশগঞ্জ এলাকায় ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় সেটি। লঞ্চ দূর্ঘটনা থেকে বেচে ফিরা জাহাঙ্গীর হেসেন ও নাসিমা আক্তার বলেন, কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে আমরাসহ কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠলেও এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ভিডিও-https://www.youtube.com/watch?v=0xZL3x989Ak