নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নোভেল করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশ যখন পুরো লকডাউনে, ঠিক তখনই বিদ্যুতের অসহনীয় লোড সেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো,ঘোষবাগ,নরসিংহপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ,সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই কোন কারন ব্যতী রেখেই একটানা ২-৩ ঘন্টা বিদ্যুতের লোড সেডিং রাখা হয়।চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকায় বসবাসরত শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের ।জানা যায়, শুক্রবার ভোর থেকেই প্রায় ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুতের লোড সেডিংয়ে রাখা হয়। যাতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সরকারী নির্দেশ পালন করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষগুলোর।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কেউ কেউ প্রচন্ড তাপদাহ সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েছে। আবার বিদ্যুৎ এর লোড সেডিং হওয়ায় পানির অভাবে সকাল থেকেই খাবার প্রস্তুত করতে পারছে না কেউ কেউ।যাতে করে একদিকে হোম কোয়ারেন্টিন অমান্য,অন্যদিকে জীবন বাঁচাতে অবলম্বন করতে হয়েছে করোনাভাইরাস অপ্রতিরোধের নানা অসচেতনতাকে।
এ বিষয়ে জিরাবো বাগানবাড়ী এলাকার শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ অফিসের উদাসীনতা আমরা লক্ষ করতে পারি। কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়না বা কারো কাছে অভিযোগ ও করিনা। বর্তমান দেশের এই মহামারীতে লকডাউন করা হয়েছে। যাতে করে মানুষ নিরাপদে ঘরে থাকতে পারে তারা এ বিষয়ে অবগত থেকেও কেন উদাসীনতা দেখাচ্ছে এর জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
বিদ্যুৎ অফিসের উদাসীনতা নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, যখন বিদ্যুৎ যায় ২-৩ ঘন্টার আগে আসেনা।আর মাঝে মধ্যে বিদ্যুতের ছোট খাটো সমস্যা হলেও তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় পাওয়া যায় । কিন্তু কেন? আমরা জনগণ আমাদের টাকায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করেও কেন এত বিদ্যুৎ অফিসের উদাসীনতার সম্মূখীন হতে হয়? তাদের দায়বদ্ধতা কোথায়?
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় ঘোসবাগ বিদ্যুৎ অফিসে বার বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি এবং কোন পূর্ব নোটিশ না দিয়েই বিদ্যুৎতের এত লোড সেডিং কেন করা হচ্ছে? এ বিষয়ে স্থানীয় ঘোষবাগ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের হটলাইন নাম্বারে বার বার ফোন দিয়েও কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭