রাশেদ হাসানঃ ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক জি কে শামীমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের চলমান কাজের তথ্য চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সম্প্রতি এই তথ্য চেয়ে ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
‘জি কে (বিল্ডার্স) নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক চলমান কাজের তথ্য’ শিরোনামে চিঠিতে একটি ছক দিয়ে সেই ছক মোতাবেক জি কে বিল্ডার্সের চলমান প্রকল্পের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
ছকে প্রকল্পের নাম, প্রকল্পের মেয়াদ, ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বরাদ্দ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাস্তবায়ন হার, কাজ চলমান আছে কিনা এবং মন্তব্য- এ সব কলামের মাধ্যমে তথ্য দিতে বলা হয়। কাজ চলমান রাখার স্বার্থে গৃহীত ভিন্নরূপ কোনো উদ্যোগ থাকলে তা ছকের মন্তব্য কলামে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
চিঠিটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের নিকেতন অফিসে অভিযান চালিয়ে জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করে র্যাব। অভিযানের সময় এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।
জি কে শামীম সচিবালয়, র্যাব হেড কোয়ার্টার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতালসহ বড় বড় ১৭টি প্রকল্পের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এ্যাড. নজরুল ইসলাম । ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক ভোরের খবর,খন্দকার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। অফিসঃ ১৫০ নাহার ম্যানসন (৫ম তলা) মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা -১০০০। বার্তাকক্ষ-+৮৮০১৭৪৫-৩৫৪২৭৭